বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি

ঘরের কোণে ছোট একটা বেতের ওয়্যারেড্রোব এনে দিতে পারে ভিন্ন আমেজ। বারান্দায় রাখা বেতের চেয়ারে বসে ‍ছুটির দিনের বিকেলে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সময় কেটে যাবে প্রিয় মানুষের সঙ্গে।

এছাড়া পুরো বাসাও সাজাতে পারে শুধু বাঁশ-বেতের আসবাব দিয়ে। কারণ খাট, সোফা, ডাইনিং টেবিল, সাধারণ টেবিল, চেয়ার, মোড়া, দোলনা থেকে শুরু করে আলনা, ওয়্যারড্রব, ডিভান পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে বাঁশ ও বেত দিয়ে।

বাঁশ-বেতের আসবাবপত্রে বিভিন্ন রংয়ের ব্যবহার অন্য মাত্রা এনে দেয়। প্রাকৃতিক রং ছাড়াও কফি, অফ হোয়াইট ও বার্নিশের প্রচলন বেশি। দেশজ ঐতিহ্যবাহী নকশার আসবাবপত্র ছাড়াও বিদেশি বিভিন্ন ডিজাইন দেখে এসব আসবাবপত্রে নতুনত্ব আনা হচ্ছে।

আর চোখের দেখা কোন ডিজাইন মনে ধরলে অর্ডার দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায়।

সম্ভাব্য পুঁজি: 
২০০০০০ টাকা থেকে ৫০০০০০ টাকা পর্যন্ত
সম্ভাব্য লাভ:  
মাসে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করার সম্ভব।
যা প্রয়োজন:    
বাঁশ, করাত, বেত, বার্নিশ, আঠা ও কর্মচারী। এ ছাড়া বাজারজাত করতে উন্নত ক্যাটালগ।
প্রস্তুত প্রণালি:  
জনবহুল জায়গায় দোকান নেয়ার পর দক্ষ কারিগর বা কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। শুরুতেই  বাঁশ কেটে নিতে হবে। এরপর পণ্যের ধরন অনুযায়ী কেটে নিয়ে তৈরি করতে হবে বাঁশের তৈরি খাট, সোফা, চেয়ার, মোড়া, বুকশেলফ, রকিং চেয়ার ইত্যাদি। প্রচলিত বিভিন্ন ডিজাইনের পাশাপাশি নিজস্ব ডিজাইনের আসবাব বানিয়ে দোকান সাজাতে হবে।
বাজারজাতকরণ:    
কাঠের তুলনায় বাঁশের আসবাবের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় মানুষই এখন বাঁশের পণ্য কিনছে বেশি। বাসাবাড়ি ছাড়াও অফিস, রেস্তোরাঁ  সাজাতে এই আসবাবের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
যোগ্যতা:    
বাঁশের পণ্য তৈরিতে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

তথ্য:
তথ্য আপা প্রকল্প

RELATED post